Durga Puja Special Bulletin 2021- Page 2


  Sarva soubhagya dayini: সর্ব সৌভাগ্য দায়িনী

“কল্লোল অফ নিউ জার্সির“ দুর্গাপুজো

আলোলিকা মুখোপাধ্য়ায় 

 

Alolika Mukherjee is a globally known writer and Co-founder of Kallol, New Jersey She was appointed as US correspondent by a leading Bengali publication from Kolkata. Her weekly column appeared continually for over three decades. She authored many Bengali stories on the Bengali immigrant Society of North America which were published in literary magazines from Calcutta including Desh, Anandomela, and Sharodiyo Bartman.

এই সেই উৎসবের মাস, যখন বোধন থেকে বিসর্জনের পুনরাবৃত্তির মধ্যে দিয়ে অভিবাসী বাঙ্গালীর শারদ উৎসবের দুই পক্ষকাল শেষ হয়ে যাবে । অকালবোধনে যে দুর্গোৎসবের সূচনা হয়েছিল, তার দেবী পক্ষ / কৃষ্ণপক্ষ নিয়ে আমাদের আর বিচার বিবেচনায় কাজ কি? তবু সেই দেবী পক্ষেই এবারও “কল্লোলের” দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ই অক্টোবর। তিন দিনের পু্জো শেষ হবে ১৭ই অক্টোবর ।

যদিও ইদানীং কলাবৌ স্নান, বরণ ইত্যাদি নিয়ে নির্ধারিত দিনের আগের সন্ধ্যে থেকেই উৎসবের সূচনা হচ্ছে । এবারেও দুর্গাপুজো হবে সমারসেটের ইউক্রেনিয়ান হলে। হলের পাশে বিশাল “টেন্ট“ এ তিন দিনের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন । কল্লোলের দীর্ঘ চুয়াল্লিশ বছর পার হয়ে এবছর পঁয়তাল্লিশ তম দুর্গোৎসব । নিউ জার্সির এই প্রতিষ্ঠিত বাঙ্গালী ক্লাবের নাম ও পুজোর জাঁক জমকের কথা দেশ বিদেশের বহু বাঙ্গালী জেনেছেন। কল্লোলের পুজোয় এসে তিন দিনের উৎসব , অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। এখন এই সার্থকতা, সাফল্যের দিনে , মনে পড়ে আমাদের সেই প্রথম দুর্গাপুজোর উৎসাহ , উদ্দীপনার কথা । বারোয়ারী পুজোর অভিজ্ঞতা, ক্লাবের আর্থিক সঞ্চয় , সেই সত্তর দশকের শেষে , কতটুকুই বা আমাদের সাধ্য ছিল ?

এই প্রসঙ্গে কল্লোল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতার কথা বলা যাক। ১৯৭৫ সালে, নিউ জার্সি তে মোট ২৬ জন বাঙ্গালীর উদ্যোগে এই সংস্কৃতিক ক্লাব গড়ে উঠেছিল । প্রবাস জীবনে বাংলা সংস্কৃতির চর্চা আর পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটানো – এই ছিল উদ্দেশ্য। ১৯৭৫ সালে বাংলা নাটক “শর্মিলা“ আর ১৯৭৬ সালে “সেই তিমিরে“ মঞ্চস্থ হল। নিউ জার্সিতে সেই প্রথম স্থানীয় বাঙ্গালী পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিয়ে “কল্লোলের” উদ্যোগে নৃত্যনাট্য “ঘুমের দেশে খুকুমণি“ বিজয়া সন্মেলনী উপলক্ষ্যে মঞ্চস্থ হয়েছিল ।
১৯৭৭ সালের জুন মাসে “কল্লোলের” পিকনিক এ সকলে মিলে ঠিক করা হলো দুর্গাপুজো হবে। তখন এ রাজ্যে কোথাও কোন দুর্গাপুজো হতো না। দিনক্ষন দেখে রাটগার্স ইউনিভার্সিটির স্কট হল ভাড়া নিয়ে তিন দিন ধরে সেই ছিল “কল্লোলের” প্রথম দুর্গাপুজো । প্রতিমা এসেছিল মন্ট্রিয়ল থেকে । এক বাঙ্গালী শিল্পী তৈরি করেছিলেন। স্কট হলে তিন দিন ধরে পুজো, খাওয়াদাওয়া আর সন্ধ্যেবেলায় নিউ ব্রান্সউইক হাইস্কুল অডিটোরিয়ামে বাংলা নাটক, ছোটদের নৃত্যনাট্য, বিচিত্রানুষ্ঠান হোল । সে সময় তিনশো সাড়ে তিনশো মতো লোক হয়েছিল ।

ক্রমশ ক্লাবে সদস্য সংখ্যা বাড়তে লাগলো। জনবল আর অর্থবলের দাক্ষিন্যে দুর্গাপুজোর জাঁকজমক ও বাড়তে থাকলো । পাঁচবছর অন্তর দেশ থেকে নতুন প্রতিমা নিয়ে আসার ব্যবস্থা হল । ক্রমশ পুজোয় ভিড় বাড়তে থাকায় স্কট হলে আর জায়গা হোলো না। সমারসেট শহরে ইউক্রেনিয়ান হলে দুর্গা পজো স্থানান্তরিত হোলো। আজও সেখানেই পুজো হচ্ছে। এখন আর শুধু স্থানীয় প্রতিভা নয়, কলকাতা আর বম্বের নামী দামী শিল্পীরা এসে অনুষ্ঠান করেন । তবে “কল্লোলের“ সেই ট্র্যাডিশন আজও বজায় রয়েছে। নাটক, নৃত্যনাট্যে অংশ নেয় ক্লাবের সদস্য ও তাদের ছেলেমেয়েরা ।

“কল্লোলের” দুর্গাপুজোর মহাযজ্ঞ আজও অভিবাসী বাঙ্গালী জীবনে এক পারিবারিক উৎসবের স্মৃতি বহন করে আনে। পুজো মন্ডপের দায়িত্বে যারা থাকেন, তাদের নিষ্ঠা আর পরিশ্রমে যথা সম্ভব আচার, বিধি মেনে ষষ্ঠীর বোধন থেকে দশমীর বিসর্জন সুসম্পন্ন হয় । ১৯৭৭ সাল থেকে স্থানীয় বাঙ্গালী পুরোহিত পুজো করতেন । ১৯৮৭ সাল থেকে “কল্লোলের“ এক স্থাপক সদস্য পৌরহিত্য করে আসছেন। তন্ত্রধারক ও “কল্লোলের”ই সদস্য। বহুবছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে শারদীয় সাহিত্য পত্রিকা।
পুজোর তিন দিনের এলাহী রান্নার ভার দেওয়া হয় প্রফেশনাল রাঁধুনিদের। সেখানেও তদারক করেন কজন রন্ধন বিশেষজ্ঞ সদস্য। পঁয়তাল্লিশ বছর আগে আমাদের এক এক জনের সেই কুড়ি পাউন্ড আলুরদম নয়তো দুশো সন্দেশ তৈরীর “প্রজেক্ট“ মনে পড়ে !
“কল্লোলের“ পুজোর এইসব অনুসঙ্গ নিয়ে নতুন পুজোর প্রতীক্ষায় আছি ।

কল্পারম্ভে নবদুর্গা

সুষ্মিতা রায়চৌধুরী
লেখিকা / ব্লগার. নিউজার্সি 

হে দেবী, তুমি জয়ন্তী (জয়যুক্তা বা সর্বোৎকৃষ্টা), মঙ্গলা (জন্মাদিনাশিনী); কালী (সর্বসংহারিণী), ভদ্রকালী (মঙ্গল-দায়িনী), কপালিনী (প্রলয়কালে ব্রহ্মাদির কপাল হস্তে বিচরণকারিণী), দুর্গা (দুঃখপ্রাপ্যা), শিবা (চিৎস্বরূপা), ক্ষমা (করুণাময়ী), ধাত্রী (বিশ্বধারিণী), স্বাহা (দেবপোষিণী) এবং স্বধা (পিতৃতোষিণী)-রূপা, তোমাকে নমস্কার।

মহালয়ার পুণ্য তিথিতে দেবীপক্ষের সূচনা, তখনই কি অনাবৃতা হয় নারীশক্তি? কর্মে-মন্ত্রে তখনই কি জন্ম নেয় নারী রূপেণ সংস্থিতা? আশ্বিনের এক প্রাগৈতিহাসিক সকালে শ্রীরামচন্দ্র যে দুর্গার বোধন করেছিলেন তাঁকেই রণদেবী রূপে স্বর্গের দেবপুরুষগণ অসুর নিধনে পাঠিয়েছিলেন, সেই দুর্গাই একুশ শতকে নারীর ক্ষমতায়ন। তবুও মহালয়ার পুণ্য প্রভাতে, হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী গরুড় পুরাণ গ্রন্থে বলা হয়েছে, “পুত্র বিনা মুক্তি নাই।” একবিংশ শতাব্দিতে সমাজ প্রগতিশীল তবুও নারীকে শুধুমাত্র “মানুষ” তকমা পেতে “ফেমিনিসমের” শরণাপন্ন হতে হয় এখনও। আর সেই সমাজই অন্যদিকে পৃথিবীর সমগ্র কিছুর জন্য প্রার্থনা করে গঙ্গায় অঞ্জলি প্রদান করেন। “যে-অবান্ধবা বান্ধবা বা যেন্যজন্মনি বান্ধবা/ যেযাং ন মাতা, ন পিতা, ন বন্ধু”, সনাতন ধর্মানুযায়ী এই শ্লোক ব্যবহৃত হয় তর্পণের সময় এবং দেবীপক্ষে জাগরিত হয় দেবী দুর্গা। অতএব সমগ্র জগতের উদ্দেশ্যে এই তর্পণ। তার না আছে নাম, না জাত, না লিঙ্গ ভেদাভেদ। কোনও ধর্মই ভন্ডামো শেখায় না, আমরাই তৈরি করি এই ব্যভিচার তাই এই সমাজ ধর্মভীরূ। দেবী দুর্গার ত্রিনয়নের সৌন্দর্যে প্রশংসা পায় মৃৎশিল্পী কিন্তু তার মহিষারশুরমর্দিনী রূপ শুধুমাত্র রয়ে যায় দূরদর্শনের পর্দায়। তার স্থান নেই শিশু সাহিত্যেও।

তবুও পরিবর্তনের আশায় বুক বাঁধে হৃদয়। প্রথাহীন সংস্কৃতিমনস্ক কয়েকজন মিলে গান গায় সাম্যবাদের, কলম শাণ দেয় “ সবাই দুর্গা”র আহ্বাণ। ভ্রান্ত সমালোচনার ঊর্ধ্বে অযৌক্তিক সমাজশৃঙ্খলকে হেলায় লাথি মেরে নবজন্ম নেয় নবদুর্গা। যে মেয়েটা আপনার বাড়িতে বাসন মাজে, কড়া রোঁদে যে সিমেন্টের বস্তা মাথায় নিয়ে আপনাদের অট্টালিকা বানায়, যার কর্কশ হাততালিতে ক্ষিদের
বেলেল্লাপনা, যে ছেলেটার শরীর-মনের দ্বন্ধে মেয়ে হওয়ার ইচ্ছে, যার বৈধব্যে এখনও ঋতুমতির লাল, যে মেয়েটা সস্তা মেকআপে শরীর বেঁচে নিজের ইচ্ছায়, যে “না” বলায় সোনাগাছির দৃঢ় অধিকার, এমনকি যে পুরুষের বন্ধুত্বে নাম-নির্বিশেষে সম্ভ্রম…সেই দুর্গা। দেবী নিত্য, তাঁর না আছে কোনও কাঠামো, না কোনও অন্ত। দেবী নিজেই সৃষ্টি। যে মহাশক্তির তেজস্বী রূপে জন্ম নিয়েছিল মহামায়া
সে আজ উগ্রপন্থে, লিঙ্গসাম্যে, শ্রেণিসাম্যে, আঁতুড় ঘর থেকে কুরুক্ষেত্রে সমান ভাবে বিরাজমান। “মহালয়া” শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গবাচক, তাই এই দেবীপক্ষে কর্মে-বিশ্বাসে প্রত্যেকটি “দেবী” হয়ে উঠুক “মহান আলয়”। এই দক্ষিণায়নে অকাল বোধন হোক যা কিচ্ছু শুভ, যা সুন্দর, যা সৃষ্টিশীল। বিসর্জন শব্দটি বি-সৃজ ধাতু থেকে উৎপন্ন। দেবী সেইই, যে নিজমধ্যে জরাজীর্ণতাকে বহন করেও কলাকৃষ্টিতে নিমজ্জিত করেন মানবধর্ম। মানবের সেবায় আমাদের বৃত্তিগুলোকে নিয়োজিত করলেই তবেই হয় বিসর্জনের স্বার্থকতা, সূচনা হয় দেবীপক্ষের।

অণুগল্প : দুগ্গা এলো

সৌমি জানা

“ আরে ও দুগ্গি , যা বেটি আভি তু ঘর যা। বহুত কাম করলি ক্ষেত মে , আভি ঘর যাকে থোৱা কুছ খা লে।”
“ ঠিক হ্যায় বাপু।” 
গরিব ক্ষেত মজুরের আট নয় বছরের ছোট্ট মেয়েটি পরন্ত বেলায় মাথায় করে শুখনো ডালপালা নিয়ে জমির আল ধরে গুনগুনিয়ে গান ধরে ঘরে ফেরার পথ ধরল। দুপাশে আখ আর গমের ক্ষেত , আর তার বুক চিরে চলে গেছে জাতীয় সড়ক। সেখানে দিবারাত্র হুশ হুশ ছুটছে গাড়ি। হাইওয়ে দিয়ে হঠাৎ দানবের মতো প্রকান্ড শব্দে ধেয়ে এল তিন চারটে মোটর বাইক। বালিকাটিকে ঘিরে ধরে থামল ওরা। বিশ্রী হেসে নিজেদের মধ্যে কি সব যেন বলল। তারপর ওদেরই একজন বাইক থেকে নেমে এগিয়ে এল ছোট মেয়েটির দিকে। ভীত হরিণ শিশুর মতো ছুট্টে পালাতে চাইল মেয়েটি। কিন্তু তার আগেই ওকে পাঁজাকোলা করে মোটর সাইকেল এ তুলে রাস্তার পাশের জঙ্গলে মিলিয়ে গেল বাইক বাহিনী। অসহায় বালিকাটির চিৎকার সেদিন কেউ শুনলো না, কেউ এলোনা এগিয়ে ওকে বাঁচাতে। সেরাতে আর ঘরে ফেরা হলোনা দুগ্গির !

একদিন পর পাওয়া গেল মেয়েটির ক্ষত বিক্ষত রক্তাত্ত দেহ। পাশবিক অত্যাচারের কিছু বাদ রাখেনি দানবগুলো ওর শরীরে। মা হারা মেয়ের এমন পরিণতি দেখে রুগ্ন বাপটাও মরলো দিন দুয়েকের মধ্যে। শুধু আশ্চর্য্য কোন এক কারণে গরিব ক্ষেত মজুরের ধর্ষিতা বালিকাটির দেহে রয়ে গেল প্রাণ। শরীরে মনে গভীর ক্ষত নিয়ে ওর স্থান হলো সরকারি হোমে।

এরপর ঠিক ষোল বছরের ব্যবধান। হাইওয়ের পাশে সেই একই জায়গায় দিনভর ক্ষেত খামারির কাজের শেষে মাথায় জ্বালানি কাঠের বোঝা নিয়ে জমির  আল ধরে ঘরে ফিরছে শীর্ণকায়া গ্রাম্য তরুণী। হঠাৎ পেছনে ধেয়ে এল সেই বাইক বাহিনী। ঘিরে ধরলো মেয়েটিকে। তিন চারজন মিলে জোর করে ওকে মোটর সাইকেলে তুলে মিলিয়ে গেল জঙ্গলের অন্ধকারে। রাস্তা দিয়ে ছুটে যাওয়া গাড়ীর সওয়ারী বা দু চারজন পথচারী যারা এই দৃশ্য  নীরবে দেখল তারা ধরেই নিল এবারও ঘটতে চলেছে সেই ষোল বছর আগের ঘটনার পুনারাবৃত্তি !

এদিকে অন্ধকার জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির ওপর যখন ঝাঁপিয়ে পড়তে গেল পিশাচের দল ঠিক তখনই যেন মা দুর্গার শক্তি নিয়ে এক ঝটকায় ঘুরে দাঁড়াল সে ! মুহূর্তের মধ্যে সালোয়ারের পকেটে লুকোনো রিভলভার উঁচিয়ে তাক করল দানবগুলোর দিকে। হকচকিয়ে গেল লোকগুলো। একইসঙ্গে আঁধার ভেদ করে সাইরেন বাজিয়ে উপস্থিত হলো দুটো পুলিশের জিপ। কয়েকজন পুলিশ এসে ঘিরে ধরলো বাইক বাহিনীকে। আর একজন পুলিশ অফিসার এসে স্যালুট করে বললো সেই মেয়েটিকে , “ কাম খতম  ম্যাডাম জী , অপারেশান সাকসেসফুল !”

চোয়াল শক্ত হলো সেই মেয়ের , অন্ধকারেও জ্বলে উঠলো ওর চোখদুটো। বজ্রকঠিন স্বরে বললো , “ কাজ তো সবে শুরু ! ষোল বছর ধরে দাঁতে দাঁত চেপে এই দিনটার জন্য আমি প্রস্তুতি নিয়েছি। গত ক  বছরে যত মেয়ের সর্বনাশ করেছে এই পিশাচের দল তার প্রত্যেকটার হিসেব নেব আমি এদের থেকে। পুলিশ সুপার দূর্গা চন্ডরাও থাকতে এই অঞ্চলের আর কোন মেয়ের সর্বনাশ হবে না !”


Durga Puja Special Cartoons

Sudipta Bhawmik

Sudipta Bhawmik has been drawing and publishing cartoons since childhood. Several magazines and newspapers in India and USA have published his works. He also drew cartoons and illustrations for textbooks published by the University of Washington. Sudipta finds his inspiration from great cartoonists like R.K Laxman, Kutty, Mario
Miranda, Shulz, Bill Waterson, Gary Larson and many others. His primary medium is ink, however, recently he is trying out digital media like reMarkable tablet to draw his cartoons.

Durga Stotra: Audio/Visual
 
Suman and Ishanaa Banerjee
Ishanaa is a newly found talent in the TriState. Her recitations are all over Social Media…hear her recite Durga Stotra with dad Suman 

Students of Malini’s Music School
Malini’s Music School is now virtually teaching music to all in State and out of State students….get more details in the next content